কোরিয়া সরকারের Economic Development and Cooperation Fund (EDCF) এর আওতায় Exim Bank এর আর্থিক সহযোগিতায় শিক্ষকদের আইসিটি প্রশিক্ষণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ই-সেবা প্রদানসহ দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১২৫টি উপজেলাতে UITRCE নির্মাণ করা হয়েছে । বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ মার্চ, ২০১৫ একযোগে এ সেন্টারগুলো শুভ উদ্ভোধন করেন । তার পর থেকে এ সেন্টারগুলার কার্যক্রম পুরোদমে চলছে । দেশের সবগুলো উপজেলাতে সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনার আওতায় বর্তমানে ২য় পর্যায়ে ১৬০টি উপজেলাতে UITRCE নির্মাণের কার্যক্রম চলছে । ৩য় পর্যায়ে দেশের বাকি সবগুলো উপজেলাতে UITRCE স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে ।
UITRCE সেন্টারগুলোতে একজন সহকারী প্রোগ্রামার, একজন কম্পিউটার অপারেটর ও একজন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পদ সৃজন করে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে । বর্তমানে UITRCE এর সবগুলা পদ রাজস্ব খাতে । এছাড়াও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
প্রতিটি শিক্ষককে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে যা আইসিটি পলিসি ২০০৯ এ উল্লেখ করা হয়েছে । এছাড়া দেশের সকল নাগরিককে একসেস টু ইনফরমেশন সুবিধা প্রদান করার কথাও বলা হয়েছে ।
এই সেন্টারটি বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ের একটি অনন্য-সাধারণ স্থাপনা, ৪ তলা ভিত্তি সহ ২ তলা ভবন । এটি উপজেলা পর্যায়ে আইসিটি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা ও আইসিটি শিক্ষার ক্ষেত্রে গুনগত মান বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্ত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে চলেছে ।
শিক্ষা ও আইসিটি সেক্টরে গুরুত্ত্বপূর্ন ভুমিকা পালনের মাধ্যমে এই “উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (UITRCE)” গুলি সরকারের ভিশন – ২০২১, সাসটেইনএবল ডেভেলপমেন্ট গোলস – ২০৩০ (SDGs) ও রপকল্প – ২০৪১ বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ে গুরুত্ত্বপূর্ন কাজ করছে । সর্বোপরি সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রাখতে পারে এই UITRCE সেন্টারগুলি ।
মোঃ কামাল হোসেন ফরাজী
সহকারী প্রোগ্রামার
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস